Site icon Garments Gurukul [ গার্মেন্টস গুরুকুল ] GDCN

প্রিন্টিং এর ২য় অংশ | Textile Dyeing (5042)

প্রিন্টিং এর ২য় অংশ প্রিন্টিং এর ২য় অংশ | Textile Dyeing (5042)

প্রিন্টিং এর ২য় অংশ

টেক্সটাইল ডাইং
বিষয় কোডঃ ৫০৪২

 

প্রিন্টিং এর ২য় অংশ

প্রিন্টিং এর বিভিন্ন স্টাইল বা কৌশল:

এই ধরণের প্রিন্টিং এর বেলায় খোদাই করা ব্লক, স্টেনসিল, ‍স্ক্রিণ এবং রোলারের সাহায্যে ডাই কাপড়ের উপর প্রয়োগ করা হয়। Paste আকারে ডাই কাপড়ের উপর ছাপ দেওয়া হয়। রঙের যেকোন পছন্দিয় প্যাটার্ন তৈরি করা যায়।

যেমন, ব্লক প্রিন্টিং, স্টেনসিল, রোলার প্রিন্টিং, স্ক্রিণ প্রিন্টিং ইত্যাদি।

প্রিন্টিং এর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধৌতকৃত কাপড়  Resist pasting এর মাধ্যমে প্রিন্ট করা হয়। ডাই এর রং কাপড়ের শুধুমাত্র ঐ সব এলাকায় প্রবেশ করতে পারে যে অংশ টুকু Resist paste দ্বার আবৃত থাকেনা।

এই প্রক্রিয়ায় ফেব্রিক ডাইং করার পর ক্যামিকেল জাতীয় পদার্থের সাহায্যে ডাইং কাপড়ের নির্দিষ্ট অঞ্চলের রঙ নকসা অনুযায়ি উঠিয়ে ফেলা হয়। কোন কোন সময় ডাইং এর মুল রং উঠিয়ে ঐ জায়গায় তা নতুন রঙ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।

 

 

প্রিন্টিং কত প্রকার ও কি কি ?

ইহা হল প্রিন্টিং জগতের সবচেয়ে সহজ এবং পুরাতন পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়া একটি কাঠের ব্লকে প্যাটার্নের নকসা তৈরি করা হয় যা  রঙের ভিতর প্রবেশ করিয়ে রঙ লাগানোর পর ফেব্রিকের উপর চাপ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতি বার বার অনুসরণের ফলে ব্লক প্যাটার্নের নকসা ব্যবহৃত রঙ অনুযায়ি কাপড়ের উপর প্রিন্ট হয়ে যায়।

কাঠের ব্লক সাধারনত: হাত দিয়ে কাংখিত নকসা অনুযায়ি খোদাই করা হয়। এই প্রিন্টিং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ন ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা হয়।

এই প্রিন্টিং কাজ মেশিনের সাহায্যে করা হয়। এখানে খোদাইকৃত রোলার ব্যবহার করে কাপড়ের উপর প্রিন্ট করা হয়। নকসাটি ধাতব রোলারের উপরিভাগে খোদাই করা হয় যেখানে ডাই মিশিয়ে প্রিন্ট করা হয়।

ইহাও প্রাচিনতম পদ্ধতির মধ্যে একটি। এটি হাতে বা মেশিন উভয়ভাবেই করা যায়। এখানে একটি স্ক্রিণের প্রয়োজন হয় যা সুক্ষ জালের এক ধরণের কাপড়। এই স্ক্রিণকে ফ্রেমের ভিতর শক্ত এবং টান করে লাগানো হয়। এই স্ক্রিণ নিজেই একটি নকসার প্যাটার্ন হিসাবে কাজ করে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের রং ব্যবহার করে কাপড়ে একই ডিজাইন বিভিন্ন রঙে রঙিন করা যায়।

ইহা হল স্ক্রিণ প্রিন্টিং এর একটি উন্নত প্রযুক্তি। এখানে প্রিন্টিং টেবিল, কনভেয়ার বেল্ট এবং অনেকগুলো স্ক্রিণের প্রয়োজন হয়।

কোন Feeding ব্যবস্থাপনার সাহায্যে কাপড় প্রথেমে প্রিন্টিং টেবিলে আনা হয়। তারপর টেবিলের কনভেয়ার বেল্টে আঠার সাহায্যে লাগিয়ে ফেলা হয়।

এই ধরণের প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে অনেকগুলো আবর্তিত ধাতব সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয় যা ক্রম অনুসারে সাজানো থাকে। এই প্রতিটি সিলিন্ডারেই স্ক্রিণ থাকে যা দিয়ে কাপড় প্রিন্ট করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একসাথে ২০টির অধিক রঙ ব্যবহার করে প্রিন্ট করা যায়। এই পদ্ধতি অধিক দ্রুততার ও দক্ষতার সাথে কাজ করে।

ফেব্রিক প্রিন্টিং এর ইহা একটি পরোক্ষ পদ্ধতি যেখানে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, সময় এবং চাপ প্রয়োগ করে ডাই কাগজ থেকে থার্মোপ্লাস্টিক কাপড়ে স্থানান্তর করা হয়। ছবি প্রথমে কপার প্লেটে খোদাই করা হয়। তারপর এই প্লেটে পিগমেন্ট প্রদান করা হয়। ছবিটি তারপর এক টুকরা কাগজে স্থানান্তর করা হয়। এখানে আঠার একটি স্তর ব্যবহার করা হয়। ইহা তখন কাপড়ের উপর রেখে তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করা হয়। এরফলে ছবিটি কাপড়ের সাথে লেগে যায়।

 

 

প্রিন্টিং এর ২য় অংশ নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও পড়ুন…

Exit mobile version