প্রিন্টিং এর ১ম অংশ | Textile Dyeing (5042)

প্রিন্টিং এর ১ম অংশ

টেক্সটাইল ডাইং
বিষয় কোডঃ ৫০৪২

 

প্রিন্টিং এর ১ম অংশ

টেক্সটাইল প্রিন্টিং কি, প্রিন্টিং কাকে বলে?

প্রিন্টিং শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ হল “pressing” বা চাপ দেওয়া। ইহা একটি পদ্ধতিকে বুঝায় যা চাপ দেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।

টেক্সটাইল প্রিন্টিং হল কোন ফেব্রিকের বিভিন্ন স্থান স্থানীয়ভাবে রঙের বিভিন্ন প্যাটার্ন বা ডিজাইন অনুযায়ি রঙিন করার প্রক্রিয়া যেখানে রঙিন পদার্থ হিসাবে ডাই, পিগমেন্ট বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্যামিকেল বা পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

আরোও সহজ ভাষায় বলতে গেলে কাপড়ের কোন ফিনিসড পণ্যের উপর বিভিন্ন রঙের প্যাটার্ন বা ডিজাইন প্রয়োগ করে কাপড়কে সজ্জিত করার পদ্ধতিই হল প্রিন্টিং। সঠিকভাবে কোন প্রিন্ট কাপড়ে রঙ কাপড়ের ফাইবারের সাথে এমনভাবে মিশিয়ে দেয়া হয় যাতে তা সুর্যালোক বা পানির সংস্পর্শে আসলেও উক্ত প্রিন্টের রং ধরে রাখতে পারে।

 

প্রিন্টিং এর ১ম অংশ প্রিন্টিং এর ১ম অংশ | Textile Dyeing (5042)

 

প্রিন্টিং এর বৈশিষ্ট, কিভাবে কাজ করে?

  • প্রিন্টিং প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরণের ডাই বা পিগমেন্ট সুনির্দিষ্ট কোন নকসা বা প্যাটার্নের আকারে কাপড়ের উপরিভাবে প্রয়োগ করা হয় যাতে তা ফাইবারে সাথে ভালভাবে মিশে যায়।
  • ডাই, পিগমেন্ট বা ক্যামিক্যাল ধরে রাখার একটি বিশেষ ধরণের আঠালো তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয় যাকে ”Print paste” বলা হয়।
  • Print paste এর High Viscosity ধর্ম ডাইকে কাপড়ের ফাইবারের সাথে মিশে যেতে সহায়তা করে।
  • ডাইং এর জন্য কম আঠালো তরল ব্যবহৃত হয় কিন্তু প্রিন্টিং এর বেলায় বেশী আঠালো তরল ব্যবহার করা হয়।
  • প্রিন্টিং এর জন্য যে সব ডাই ব্যবহৃত হয় তাতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই Vat, azoic, reactive এবং disperse dye থাকে যাদের রঙ ধরে রাখার গুনাবলি প্রশংসনীয়।
  • পিগমেন্ট যা বাস্তবিক অর্থে ডাই নয় তা ব্যপকভাবে প্রিন্টিং কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৯৬% প্রিন্টিং কাজে পিগমেন্ট ব্যবহার করা হয়। পিগমেন্টের রং কাপড়ের ফাইবারের সাথে binder দ্বারা মেশানো হয়।

 

প্রিন্টিং এর বিকল্প কি?

কাপড়ের রঙিন নকসা প্রয়োগে প্রিন্টিং এর কিছু বিকল্প পদ্ধতিও রয়েছে। তবে, প্রিন্টিং হল সবচেয়ে সস্তা এবং সহজলভ্য। তাই প্রিন্টিং পদ্ধতিই সর্বাধিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে। অন্য পদ্ধতিগুলো যেমন –

  • রঙিন ইয়ার্ন দিয়ে যখন উভেন ফেব্রিক তৈরি করা হয়;
  • এমব্রয়ডারি যেখানে বিভিন্ন রঙের সুতা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকারের আকর্ষণীয় নকসা তৈরি করা হয়;
  • নিটি কাপড় তৈরিতে রঙিন ইয়ার্ন ব্যবহারের মাধ্যমে;
  • এপলিকস এর ক্ষেত্রে;

প্রিন্টিং এবং ডাইং এর মধ্যে পার্থক্য:

  • ডাইং এর ক্ষেত্রে কাপড়ের দৈর্ঘ এবং প্রস্থ বরাবর একই রকম রঙে রঙিন করা হয় কিন্তু প্রিন্টির ক্ষেত্রে নির্বাচিত নকসা অনুযায়ী কাপড়ের শুধু সুনির্দিষ্ট অংশেই রঙ দেওয়া হয়।
  • ডাইং এর বেলায় গোটা কাপড়ের সমস্ত জায়গায় একইভাবে রঙ প্রয়োগ করা হয় যেখানে কাপড়ের কোন পৃথক অংশ প্রযোজ্য নয়। অপরদিকে, সমস্ত কাপড়ের কোন কোন অংশে স্থানীয়ভাবে রং দেওয়া হয়।
  • কাপড়ের সামনের ও পিছনের দিক ডাইং করার পর একই রকম থাকে কিন্তু প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে একরকম থাকেনা। নকসা অনুযায়ি বিভিন্ন রকম হতে পারে।
  • ডাইং এর ক্ষেত্রে কম আঠালো বিশিষ্ট তরল পদার্থের মিডিয়ামে ডাই প্রয়োগ করা হয় কিন্তু প্রিনিং এর ক্ষেত্রে বেশী আঠালো তরল ব্যবহৃত হয় যা Paste form আকারে কাজ করে ।
  • ডাইং এ থিকেনার ব্যবহার করা হয়না। প্রিন্টিং এ থিকেনার ব্যবহৃত হয়।
  • ডাইং এ সুনির্দিষ্ট নকসা বা ডিজাইন লাগেনা কিন্তু প্রিন্টিং এ রঙ নকসা বা ডিজাইন অনুযায়ি প্রয়োগ হয়।
  • ডাইং এ ফেব্রিকসহ কাপড় তৈরির ফাইবার এবং ইয়ার্নও ডাইং করা যায়। কিন্তু প্রিন্টিং এ শুধু ফেব্রিক প্রিন্ট করা হয়।

 

GarmentsGurukul.com Logo 252x68 px Dark

 

প্রিন্টিং এর বিভিন্ন ধাপসমুহ কি কি?

  • প্রথম ধাপ: প্রিন্টিং এর জন্য কাপড় প্রস্তুতকরণ।
  • দ্বিতীয় ধাপ: প্রিন্টিং ডিভাইস নির্বাচন করে তৈরি বা সংগ্রহ করা (কাঠের ব্লক,রোটারি স্ক্রিণ, রোলার ইত্যাদি)।
  • তৃতীয় ধাপ: প্রিন্টিং পেস্ট তৈরি করা।
  • চতুর্থ ধাপ: কাপড়ের উপর প্রিন্ট প্রয়োগ করা।
  • পঞ্চম ধাপ: প্রিন্ট করা কাপড়টিকে শুকানোর ব্যবস্থা করা।
  • ষষ্ঠ ধাপ: Curing প্রক্রিয়ায় Fixation করা।
  • সপ্তম ধাপ: ভালভাবে ধৌত করা।
  • অষ্টম ধাপ: চুড়ান্তভাবে কাপড়কে শুকিয়ে নেওয়।
  • নবম ধাপ: বাজারে সরবরাহ করা।

 

প্রিন্টিং এর ১ম অংশ নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও পড়ুন…

Leave a Comment