আর্দ্রতার পরিমাপ পদ্ধতি
টেক্সটাইল টেস্টিং কোয়ালিটি কন্ট্রোল
বিষয় কোডঃ ৫০৪৫
অধ্যায়: ৩য়
আর্দ্রতার পরিমাপ পদ্ধতি
নির্দিষ্ট ভরের বা আয়তনের বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের মোট ভরই পরম আর্দ্রতা। অন্যভাবে বলা যায়,কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর প্রতি একক আয়তনে বা ভরে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের ভরই ঐ স্থানের পরম আর্দ্রতা। পরম আর্দ্রতায় তাপমাত্রাকে বিবেচনায় নেওয়া হয় না। বায়ুমণ্ডলের পরম আর্দ্রতা প্রতি ঘনমিটারে শূন্যের কাছাকাছি থেকে প্রায় 30g পর্যন্ত হয়, যেখানে বায়ু সম্পৃক্ত হয় ৩০ °সে (৮৬ °ফা) তাপমাত্রায়।
পরম আর্দ্রতা হলো জলীয়বাষ্পের ভর কে বায়ু এবং জলীয়বাষ্পের মিশ্রণের আয়তন দিয়ে ভাগের ফল, যাকে নিচের রাশিমালার আকারে প্রকাশ করা যায়:
যদি আয়তন স্থির না থাকে তাহলে বায়ুর তাপমাত্রা বা চাপ পরিবর্তনের সাথে সাথে পরম আর্দ্রতাও পরিবর্তিত হয়। এই ব্যাপারটির কারণে রাসায়নিক প্রকৌশলের গণনা কার্যে এটিকে অসুবিধাজনক, যেমনটা হয় কোনো কিছুর শুকানোর ক্ষেত্রে। এখানে তাপমাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই, রাসায়নিক প্রকৌশলে পরম আর্দ্রতা বলতে প্রতি একক ভরের শুষ্ক বাতাসে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের ভরকে বোঝানো হতে পারে, যা তাপ এবং ভরের ভারসাম্যের গণনার জন্য আরও উপযুক্ত। এটি আর্দ্রতা অনুপাত বা ভর মিশ্রণ অনুপাত হিসেবেও পরিচিত (নিচে “নির্দিষ্ট আর্দ্রতা” দেখুন)।
উপরের সমীকরণের মতো প্রতি একক আয়তনে জলের ভরকে আয়তনিক আর্দ্রতা হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা হয়। সম্ভাব্য বিভ্রান্তির কারণে ব্রিটিশ আদর্শ বিএস ১৩৩৯ অনুসারে “পরম আর্দ্রতা” পরিভাষাটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর্দ্রতার একক সবসময় সতর্কতার সাথে যাচাই করা উচিত। আর্দ্রতার অনেক তালিকাতেই একে g/kg বা kg/kg আকারে দেওয়া হলেও ভরের অন্যান্য এককও ব্যবহার করা যেতে পারে বিজ্ঞানের যে ক্ষেত্রটি গ্যাস-বাষ্প মিশ্রণের ভৌত ও তাপগতীয় ধর্ম সংশ্লিষ্ট অধ্যয়ন নিয়ে আলোচনা করে তা সাইক্রোমিতি (psychrometrics) নামে পরিচিত।
আর্দ্রতার পরিমাপ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত :
আরও পড়ুন…